আমার বিয়ে কবে হবে

আমরা অনেকেই আছি যে বয়স পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না, তাদের মনের ভিতর একটু কথা উঁকি দেয় যে আমার বিয়ে কবে হবে বা আমি কি একজন জীবনসঙ্গী পাব না, আমার বিয়ে হচ্ছে না তাহলে কি করনীয় আমার জন্য তা নিয়ে এই পোস্টটা লিখতে চলেছি।

আমার-বিয়ে-কবে-হবে


আমার বিয়ে হওয়ার জন্য, করণীয় কি ও আমি একজন মুসলিম ধর্ম অনুসারী হিসেবে , আমার কোন আমল করলে বিয়ে হবে এবং আমার বিয়ে হওয়ার জন্য কোন কোন গুণাবলী থাকা লাগবে ও আমার বিয়ে কখন হলে আমার যেন উত্তম হবে এ সম্পর্কে জানতে চলেছি।

পেজ সূচিপত্রঃ আমার বিয়ে কবে হবে এই সম্পর্কে ১২ টি টিপস 

আমার বিয়ে কবে হবে

আমার বিয়ে কবে হবে, আমরা জানি যে বিয়ে হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয, আর আমি একজন ইসলাম ধর্মী হিসেবে সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ তায়ালার উপরে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে যে আমাদের জন্য একজন নারী বা পুরুষ উভয় ক্ষেত্রে বিয়েটা একটি ফরজ হিসাবে করেছেন। আমার বা আপনার বিয়ে কবে কখন কার সাথে হবে আল্লাহতালা মিলিয়ে রেখেছেন হবে,


কতদিনের মধ্যে সেই সমস্ত কিছুই ছাড়া আর কেউ জানে না আমরা ছোটকালে গুরুজনদের কাছে শুনতাম যে জন্ম মৃত্যু বিয়ে আমার আল্লাহতালার হাতে, আমার কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার যেমন আমার ব্যক্তিগত প্রস্তুতি থাকা, এবং আমার পরিবারের মতামত এবং একটি আর্থিক স্থিতিশীলতা এগুলো আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই আমার বিয়ের জন্য এবং জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তটাই আমার বিয়ের জন্য।

আমার বিয়ে করতে করণীয় কি

আমার বিয়ের জন্য সর্বপ্রথম আমার যে বিয়ের বয়স হয়েছে বুঝাতে হবে পরিবারকে এর জন্য প্রথমেই মা-বাবাকে জানানো দরকার আর যদি আমি আমার মা-বাবাকে সরাসরি বলতে না পারি তাহলে আমার নিকটতম কোন অভিভাবক এর সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে যার ফলে আমার পরিবার এর কাছে এই বিষয় টা উপস্থাপন করতে পারে।
আমার-বিয়ে-কবে-হবে
আমার পরিবারের সম্মতি পাওয়ার পরে প্রথম কাজ হচ্ছে একটি ভালো জীবনসঙ্গিনী কে করে থাকা আর এই জন্যই একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের মধ্য দিয়ে সাহায্য গ্রহণ করা বা পারিবারিক ও ধর্মীয় দিক মিল রেখে এমন কাউকে খুঁজে বের করতে হবে আমার জন্য, যার জন্য পরিবারের আলোচনা ও সম্মতিতে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সামাজিক রীতিনীতি মেনে এবং বিবাহ আইন গুলো মেনে সম্পন্ন করা।

আমি বিয়ে করতে চাই, কিভাবে হবে?

আমি বিয়ে করার জন্য প্রথমে একটি সিদ্ধান্ত থাকা বা মতামত প্রয়োজন পরিবারে আর পরের কাজ হচ্ছে যে একজন জীবনসঙ্গীতে খুঁজে বের করা বিয়ে করতে চাইলেই আমাকে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপরে কিন্তু পর্যালোচনা করে এটি আমার জন্য প্রতিশ্রুতি হিসেবে বা দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে দেখতে হবে আমার পছন্দ তো চাহিদা অনুযায়ী জীবন মিনিটে খুঁজে বের করা চাইলে এখন কার সময়ে পরিচিত লোকজনের মাধ্যমে খুব কমই জীবন থেকে খুঁজে বের করা হয় বর্তমানে বৈবাহিক ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আমরা জীবনসঙ্গী খুঁজে থাকি।

আমার বিয়ে কবে হবে কিভাবে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী খোঁজার পরে তার সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে হবে যাতে করে সে জীবনসঙ্গী বুঝতে পারে আমার সম্পর্ক যে আপনি তার জন্য যোগ্য কিনা বা আমার জন্য যোগ্য কিনা এবং জীবন স্বাস্থ্য এবং সম্পদ ভাগ করে নিতে ইচ্ছুক কিনা সেই সম্পর্কে আলোচনা করুন।

সবকিছু আলোচনা হয়ে যাওয়ার পরে একটি ধর্মীয় অনুসারে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করতে হবে বাংলাদেশের আইন ও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈধ ভাবে বিয়ের জন্য তৈরি হয়তে হবে, এবং বিয়ের জন্য বাংলাদেশ এর আইন অনুযায়ী আপনার বয়সের দিকে খেয়াল করে বিবাহটি নিবন্ধন বাড়ির স্টেশন পড়তে হবে এতে করে আপনার প্রয়োজনীয় সত্যাবলী উল্লেখ করা থাকবে আর এভাবেই চাইলে আপনি ও বিয়েটি করতে পারেন।

আমার বিয়ে কত বছর বয়সে করা উচিত?

আমার বিয়ের জন্য বয়স হওয়া জরুরী আমি একজন ছেলে হিসেবে ২১ বছর হতে হবে। তবে বাংলাদেশী আইন অনুযায়ী এটি প্রয়োজন, তবে আমার যদি ব্যক্তিগত প্রস্তুতি এবং আর্থিক ও পরিপক্ক সিদ্ধান্ত থাকে তবে আমার ক্ষেত্রে ২০ এরপরেও বিয়ে করা যাবে। তারপরও যেহেতু আমি একজন বাংলাদেশী তাই বাংলাদেশি আইন ও সামাজিক দিক ভেবে আমাকে বিয়ের জন্য নূন্যতম ২১ বছর বয়স হতে হবে যদি এর চেয়ে কম বয়সে বিয়ে করি তাহলে বাংলাদেশ সরকারের আইনে অপরাধ এবং বাল্যবিবাহের জন্য দোষী সাব্যস্ত হতে হয়।

এবং আমি মানসিক ও আর্থিকভাবে স্বয়ংক্রিয় আছে কিনা আমার বিয়ের জন্য এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ এর সঙ্গে মানসিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকাও জরুরি যার জন্য সম্পর্কটি দীর্ঘস্থায়ী এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়, এরপরে আমাদের দরকার পরিবারের বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যা আমার বিয়ের একটি সঠিক বয়স কিংবা ব্যক্তিবেদে ভিন্ন হতে পার,


অন্যদের ক্ষেত্রে কারো বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেও বিয়ে হয়ে থাকে বয়সের পার্থক্য হলেও মনোবিজ্ঞানীরা আসলে মনে করেন যে একজন ছেলের চাইতে একজন মেয়ের বয়স কম থাকা জরুরী অন্যতম পাঁচ থেকে আট বছর রে কম থাকলে বৈবাহিক সম্পর্কটি ভালো হয় আর এজন্যই দেখা যায় যে একজন পুরুষের চাইতে নারীর বয়স কম হলে বৈবাহিক সম্পর্ক মানসিকভাবে বেশি স্থির থাকে আর আমার জন্য বিয়ের বয়স তা হলো ২১ বছর সঠিকভাবে

আমার সামর্থ্য থাকলে বিয়ের প্রতি আকর্ষণ থাকতে হবে ইসলামী দিকের দিকে তাকালে আল্লাহতালা বলেছেন বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে তাছাড়া বিয়ে নবী রাসুলের একটি সুন্নত আমার বিয়ে বা আপনারই বিয়ে জন্য প্রথমত একজন বোনের পছন্দ করা বা বাছাই করা জরুরী বিশেষ কিছু গুণ যে টা একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার ক্ষেত্রে একই ,প্রথমত আমার জন্য হচ্ছে যোগ্যতা দ্বীনদারিতা ও চারিত্রিক পবিত্রতা আল্লাহকে ভয় করা এবং হারাম সবকিছু থেকে দূরে থাকা

আর আসার আচরণ এর দিকটাকেও দেখতে হবে যাতে করে আমি যে একজন উপযোগী সম্পন্ন হই যা পারস্পরিক সম্পদ সমান সামাজিক গুন জীবন দশা থাকা গুরুত্বপূর্ণ এছাড়াও ভবিষ্যৎ বউয়ের সাথে বোঝাপড়া মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যতের সফল লিগ বয়ে আনে আমার জন্য আরো ধর্মপরায়ণ ও চারিত্রিক পবিত্রতা আল্লাহকে ভয় করে আদর্শ মূল্যবোধ একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকা দরকারএই বিষয়ের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিয়ের আগে ও পরেই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা আকর্ষণ থাকা তাও এক ধরনের গুণ।

আমার বিয়ে কার সাথে হবে এটা কি পুনঃ নির্ধারিত

হ্যাঁ এটি  নির্ধারিত কারণ আমরা মুসলিম হিসাবে এটি মানতে বাধ্য যে আমাদের সমস্ত কিছুই নির্ধারিত করে রব্বুল আলামীন, আল্লাহতালা তিন দফা আমাদের তাকদির সাতটা আসমানের গ্যালাক্সি ও জমিন সৃষ্টির ৫০ বছর পূর্বে আল্লাহ রব্বুল আলামীন সৃষ্টি করেছেন, এবং কলম সৃষ্টি করেছেন এবং কলম কে বলেছেন লিখো কলম বলে কি লিখবো,আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন কেয়ামত পর্যন্ত যা হবে সবকিছু লিখে ফেলো এটা ছিল প্রথম দফা।

দ্বিতীয় দফায় তাকদীর লেখা হয়ত্যক আদম সন্তান যখন মায়ের গর্ভে থাকে যখন তার বয়স হয় তার মাস দশ দিন বা ১২০ দিন এর সমান তখন কিছুটা তাকদিন লিখে রাখা হয় আমার আপনার রিজিক বয়স হায়াত ভাগ্য সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য মন্ডিত, তাই আমার বিয়ে কার সঙ্গে হবে এটি পুনঃনির্ধারিত বলা হয়।

আমার বিয়ে হওয়ার জন্য কোন আমলগুলো 

আমার বিয়ের জন্য ইসলামিক মতে এবং দ্রুততম সময়ে জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম ইবাদত রয়েছে যার মধ্যে সর্বপ্রথম আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং পাশাপাশি মোনাজাতের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি দোয়া কিংবা পাঠ করার মধ্য দিয়ে আমার বিয়ের বিষয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করতে হবে এছাড়াও ইস্তেগফার গুনা মাফ চাওয়ার ও আমল গুলো পাঠ করে আল্লাহর উপর ভরসা রাখা জরুরি।


এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রাখতে হবে মনে হবে সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছা এবং আল্লাহর উপরে নির্ভরশীল এবং সবকিছুর ভরসা আল্লাহর উপরে প্রয়োজন, প্রতিটা দিন ফজর নামাজের পর 40 দিন ধরে ইয়াফাতাহু একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে পড়া হয় তার মাধ্যমে বলা হয়েছে এই আমলটি, এবং দ্রুততম এবং ভালো জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য সাতবার দুরুদ শরীফ পাঠ করুন এবং ইয়া মুসাব্বিবাল আসবাবি ইয়া মু ফাতিহাল আবওয়াবি ইয়া মান হাইতু মা দু-ই- ইয়া আজাবা

১০১ বার পাঠ করতে হবে দোয়া শেষে করে আরো সাতবার দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে এবং আল্লাহতালার কাছে দুই হাত তুলে প্রার্থনা শেষ করতে হবে যাতে করে আমার বিয়ে কবে হবে বা আমার বিয়ে হওয়ার জন্য কোন আমল গুলি প্রয়োজন তার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়।

ভালো জায়গায় বিয়ে হওয়ার দোয়া

আমরা সকলেই চাই আমাদের একটি ভালো জায়গায়ই বিয়ে হোক তাই আমাদের মনের আশা থেকে চাওয়া সেই আশাটি কে বাস্তবে রূপান্বিত করার জন্য আমার বিয়ে কবে হবে এই বিষয়ে মধ্যে একটি দোয়া ও আমল এর পাশাপাশি অতি প্রয়োজনীয় কাজ গুলি করা উচিত যেগুলোর উপরে গুরুত্বপূর্ণ দোয়া আমল রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে সূরা ফুরকানের ৭৪ নম্বর আয়াত, ''রব্বানা হাবলানা মিন আজ ওয়াজিনা ওয়া জুর রিয়্যাতিনা কুররাতা আ ওয়াজ আলনা লিল মুত্তয়াকীনা ইমামা'' 

এবং তোরা দুহা প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর ১১ বার পাঠ করা ভালো সূরা তওবার ও সূরা ইয়াসিনের পাঠ করার কথা বলা হয়েছে এবং হালাল পন্থা অর্থাৎ শরীয়ত সম্মত উপায়ে বিয়ের জন্য পাত্রী কিংবা পাত্র খোঁজ করার কথা বলা হয়েছে জরুরি এবং নিয়মিত দান এবং পাশাপাশি অন্যদের জন্য দোয়া করুন যাতে করে সকলে উপকৃত হতে পারে এর  একটি ভালো জায়গায় বিয়ে বিয়ের দোয়া গুলি করতে হবে।

শেষ কথাঃ আমার বিয়ে কবে হবে

সম্মানিত আমার পাঠকগণ ও বন্ধুরা আজকে আমার বিয়ে কবে হবে এই বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। আমার এই পোস্ট থেকে অন্তত কিছু হলেও ধারণা পেয়েছেন যে আমার বিয়ে কবে হবে এই সম্পর্কে তো একটি আলোচনা যার মধ্যে ছিল আমার বিয়ে করতে করণীয় কি, আমি বিয়ে করতে চাই কিভাবে হব, আমার বিয়ে কত বছর বয়সে করা উচিত, আবার বিয়ের জন্য কি গুণ থাকা লাগবে, আমার বিয়ের কার সাথে হবে এটা কি অন্য পুনঃ নির্ধারিত, ও আমার বিয়ে হওয়ার জন্য কোন আমলগুলি প্রয়োজন, মূলত এই বিষয়ের উপরেই ছিল।
আমার-বিয়ে-কবে-হবে
প্রিয় পাঠক আশা করছি আমার এই পোস্টটি পড়ে কিছু হলেও উত্তর দিতে হতে পেরেছেন এরকম তথ্য মূলক আর্টিকেল ব্লগ নিয়মিত পেতে চাইলে আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং সব সময় আমরা চাই আপনাদের চাহিদার মত আর্টিকেল লিখতে তাই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন এবং একটি কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য জানাতে পারেন ভালো থাকবেন সবাই ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আহনাফ নেট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Md. Abdul Hannan
Md. Abdul Hannan
আমি একজন শিক্ষার্থী ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করছি। এবং শিক্ষার্থী অনলাইনে সফল হতে কাজ করে যাচ্ছি।